ভারতের দিল্লিতে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শককে নারী নির্যাতনকারী ছেলের পক্ষ নেওয়ায় বরখাস্ত করা হয়েছে। গত সোমবার অশোক কুমার টোমার নামের পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে দিল্লি পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ছেলের পক্ষ নিয়ে নির্যাতিত তরুণীর পরিবারকে হুমকি দিয়েছেন তিনি।
অশোকের ছেলের নাম রোহিত টোমার (২১)। তিনি একটি কল সেন্টারে ওই তরুণীর গায়ে হাত তোলেন। সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন একজন। পরে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দিলে তা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ওই ঘটনায় কল সেন্টারের মালিক আলী হাসান, ভিডিও ধারণকারী রাজেশ নামের পিয়নকে গ্রেপ্তার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এ ঘটনায় উত্তমনগর পুলিশ স্টেশনে একটি মামলা হয়েছে।
গত শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পাটনায়েককে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বললে পুলিশ রোহিত টোমারকে গ্রেপ্তার করে।
মূল অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। একটি ধর্ষণের মামলা এবং অপরটি অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন ও নিপীড়ন। প্রথম মামলাটি গত বৃহস্পতিবার তিলকনগর পুলিশ স্টেশনে করা হয়। আরেকটি মামলা হয়েছে উত্তমনগর পুলিশ স্টেশনে। এ মামলায় এক তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তরুণীকে মারধরের ভিডিওটি টুইটারে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল, এরপর সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং নিজেই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২ সেপ্টেম্বর থেকে টুইটারে একটি ভিডিও বেশ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, যাতে দেখা যায়, দিল্লির এক অফিসে এক তরুণ এক তরুণীকে চুল ধরে মেঝেতে ফেলে দিচ্ছেন। সেখান থেকে আবার চুলের মুঠি ধরে চারদিকে টানাহ্যাঁচড়া করছেন। সঙ্গে উপর্যুপরি হাঁটু ও কনুইয়ের আঘাত। তরুণী মেঝে থেকে উঠে দাঁড়াতে চাইলে সজোরে লাথি মেরে আবার তাঁকে নিচে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি চড়-থাপ্পড়ের সঙ্গে চলে গালমন্দ।
– প্রথমআলো