কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কারওয়ান বাজার সহ রাজধানীর বিভিন্ন হাট-বাজারে জমে উঠেছে চাটাই ও খাইট্টা বেচা-কেনা।সরেজমিনে ঘুড়ে দেখাগেছে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কমলাপুর, টিকাতলি, মানিক নগর, টিটিপাড়া এবং খিলগাঁও বাজারে জমে উঠেছে গোলপাতার চাটাই, মাংশ বানানোর খাইট্টা ও গরুর খাবার হিসেবে ধানের খের, কাচাঁধান, ঘাষ সহ বিভিন্ন ধরনের ভূষির বেচা কেনা।
কুরবানীর ঈদে রাজধানী বাসির চাহিদার কথা বিবেচনা করে নানান পেষার ক্ষুদ্র ব্যাবষায়ী ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা রাজধানী জুড়ে এসব পসরা সাজিয়ে বসেছেন। তবে এসবের দাম প্রকার ভেদে একেক রকম।
মৌসুমি ব্যবসায়ী আব্বাস উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, খাইট্টার দাম ১৫০ থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা। চাটাই ১২০ থেকে শুরু করে ১৪০ টাকা। খের মুঠো প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা। ঘাস মুঠো প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা।
এছাড়া বাজার ও পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ভূষি। এসবের দামও রয়েছে সাধ্যের মধ্যে। গমের ভূষি কেজি প্রতি ৪০ টাকা, ধানের ভূষি ৩০ টাকা ও সরিষার খৈল কেজি প্রতি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খাইট্টা বিক্রেতা মোশাররফ নূর বলেন, কাঠের মধ্যে তেঁতুল গাছের কাঠ অত্যন্ত শক্ত ও মজবুত। প্রতিবছর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে তাঁদের মতো ক্ষুদ্র মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন করাতকল ও মহাজনের কাছ থেকে কাজে লাগে না এমন ছোট ছোট কাঠের গুঁড়ি কেনেন। এরপর সেগুলো মাংস কাটার উপযোগী করে নির্দিষ্ট মাপে টুকরা করে খাইট্টা তৈরি করেন।
অন্য গাছের কাঠের তৈরি খাইট্টা দা বা ছুরির আঘাতের ফলে কাঠ থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকরা উঠে মাংসে লেগে থাকে। যা পরে মাংস থেকে ছড়াতে বেশ বেগ পেতে হয়। কিন্তু তেঁতুল গাছের কাঠ শক্ত ও মজবুত হওয়ায় সাধারণত এমনটি খুব কম হয়। তাই কোরবানির পশুর মাংস কাটতে এই কাঠের খাইট্টা ক্রয় করে থাকেন ক্রেতারা। কসাইরা সারা বছরই এই কাঠের খাইট্টা ব্যবহার করেন বলে জানান তিনি।