আশ্বিনের চতুর্থ দিনেও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। বৃষ্টিবিহীন আবহাওয়ায় ঘরের বাহিরের অবস্থা আরো বেশি ভয়াবহ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। আর তাই ঘরের বাহিরে নগরবাসীর একমাত্র সঙ্গী ছাতা ও পানির বোতল।
দিনে ও রাতে ভ্যাপসা গরমে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। বাতাসে আপেক্ষিক জলীয়বাষ্প ও আর্দ্রতার মাত্রা বেশি থাকার কারণে মানুষ অতিরিক্ত ঘামছে। গরমের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাছের ছায়ায় অনেকেই বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। ভীড় বেড়েছে ফুটপাতের শরবত ও কোমল পানীয় বিক্রির দোকানগুলোতে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, গতকাল রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামি ১-২ দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলেও বাতাস বাড়তে পারে।
বেসরকারি অফিস কর্মকর্তা আদিল রহমান জানায়, একে’তো তীব্র গরম তার উপর আবার রাস্তায় জ্যাম দুটো মিলে খুব খারাপ অবস্থা। বাহিরে বের হলেই ঘামে কাপড় ভিজে যাচ্ছে, অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। আর প্রচুর পরিমাণ পানির পিপাসা লাগছে। ফলে কাজে মনোযোগ দিতে পারছি না।
গার্মেন্টস কর্মী সেলিনা পারভীন জানায়, তীব্র গরমে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। অতিরিক্ত ঘামের কারণে ঠান্ডা লেগে আমার ছেলের গত দুই দিন যাবত জ¦র হয়েছে।
মোহাম্মদপুর প্রিপারেটটি স্কুলের শিক্ষার্থী ক্বারিব জানায়, গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে স্কুল যেতে সমস্যা হচ্ছে। ঠিকমতো ক্লাসও করতে পারছিনা। ঘামে জামাকাপড় ভিজে যায়। ফ্যানের বাতাস পর্যন্ত গরম লাগে। আর বিদ্যুৎ চলে গেলেতো কোনো কথাই নেই, অতিষ্ঠ লাগে।
রিকসা চালক রফিক জানায়, অতিরিক্ত গরমের কারণে আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই রোদে রিকসা চালানো খুব কঠিন হয়ে পড়ছে। ছায়ায় বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। ঠিকমতো রিকসা চালাতে পারছিনা। ফলে আয় রোজগারও কমে গেছে।