ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদুল আযহার প্রধান জামাত। মুখে তাকবীর, হাতে জায়নামাজ। বুধবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকেই শুভ্র পোষাকে বিভিন্ন বয়সের মুসল্লিরা ছুটে আসেন ঈদগাহে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নিরাপত্তা চাদরের মধ্য দিয়েই একে একে জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
বুধবার (২২ আগস্ট) সকাল ৮টায় সুপ্রিমকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে হয় ঈদের প্রধান জামাত। বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ এহসানুল হকের ইমামতিতে জামাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র, কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের মানুষ।
নামাজ শেষে লাখো হাত একসঙ্গে ওঠে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে। জীবিত বা মৃত, পরিবার প্রিয়জন আত্মীয় স্বজনসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ঈদের জামাতে অংশ নিয়ে মুসল্লিরা বলেন, সুষ্ঠুভাবে এ দেশটা চলতে পারে। সেই সঙ্গে সব জায়গায় শান্তি বিরাজ করতে পারে মহাল আল্লাহ তায়ালার কাছে সেই দোয়াই করছি। বাংলাদেশের জন্য দোয়া করেছি, মুসলিম উম্মার জন্য দোয়া করেছি।
মোনাজাত শেষে ঈদের চিরায়ত রীতি অনুযায়ী পরম ভালোবাসায় একে অপরকে বুকে টেনে নেন মুসল্লিরা। হিংসা বিদ্বেষ ভুলে একসঙ্গে দেশ ও জাতি গঠনে একাত্ম হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন তারা।
নামাজ শেষে এক ব্যক্তি বলেন, ‘মানুষ মনে মনে কি চাচ্ছে, তারা কী দেখানো জন্য কোরবানি করছে। না আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করছে, এই মেসেজটা কোরবানির শিক্ষা।’
উৎসব উৎসর্গ হোক সব ধর্ম-বর্ণ মানুষের জন্য। মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হযরত ইব্রাহিম (আ.) তার প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে (আ.) কোরবানির চেষ্টার মধ্য দিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। হাজার হাজার বছরের পরও পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে আজ সেই রেওয়াজ অব্যাহত রয়েছে। ত্যাগের এই চিরন্তন মহিমা অনুসৃত হোক রাজনীতি সমাজ নীতি ও ব্যক্তি জীবনেও।