গণমাধ্যম ডেস্কঃ যে দলটি বিগত দুই মৌসুমে মাত্র এক পয়েন্টের জন্য অবনমন থেকে বেঁচে গেছে, সর্বশেষ মৌসুমে যারা সবচেয়ে কম গোল করেছে, সে দলটি প্রতিপক্ষ হয়ে এলে কোচ, খেলোয়াড় আর সমর্থকদের নির্ভার থাকার কথা। কায়েনকে পেয়ে তাই পিএসজিও বেশ নির্ভার। তবে মৌসুমের প্রথম ম্যাচ, শুরুটা ভালো হওয়া দরকার- এমন ভাবনার ‘চাপ’ কিছুটা হলেও আছেই। তবে সবচেয়ে বড় ভাবনাটি নেইমারের। মেসির ছায়া থেকে বেরোতে চেয়ে এখন নাকি তিনি এমবাপ্পের ছায়ায় ঢাকা পড়তে যাচ্ছেন- এমন একটি কথা এদিক-ওদিক উচ্চারিত হতে শুরু করেছে। এ কথার যেন ডালপালা আর না গজায়, সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই লীগ শুরু করতে যাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
এক বছর আগে দলবদলের বিশ্বরেকর্ড গড়ে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে চলে এসেছিলেন। পিএসজিতে যোগ দেওয়ার মাসখানেকের মধ্যেই ঝামেলা বাধিয়ে দিয়েছিলেন এডিনসন কাভানির সঙ্গে। খেলছিলেন অবশ্য ভালোই। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে পড়লেন চোটে, মাঠ থেকে ছিটকে গেলেন কয়েক মাসের জন্য। পিএসজিও লীগ শিরোপা জেতা বাদে বড় মাপের আর কিছু পায়নি। চোট সারিয়ে জুনে বিশ্বকাপমঞ্চে ফিরেছিলেন নেইমার। ব্রাজিলের হয়ে তার বিশ্বকাপযাত্রা থেমে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। উপরন্তু ফাউলের শিকার হওয়ার পর ‘অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া’ দেখিয়ে হয়েছেন সমালোচিত। উল্টোদিকে উনিশ বছর বয়সী এমবাপ্পে রাশিয়া থেকে ফিরেছেন বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে। ফুটবলের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন, একাধিক ম্যাচে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের ঝলক দেখিয়েছেন। পিএসজির জার্সিতে গত মৌসুমে নেইমার-এমবাপ্পে একসঙ্গে যত ম্যাচ খেলেছেন, তাতে সব দিক থেকে এগিয়ে নেইমারই। তার সামনে চ্যালেঞ্জ সেই এগিয়ে থাকার ধারাবাহিকতা রক্ষা করার। প্রাক মৌসুমে চীনের শেনজেনে মোনাকোর বিপক্ষে মাত্র ১৪ মিনিট খেলেছিলেন নেইমার। নতুন কোচ থমাস টাখেলের অধীনে আজ থেকে পূর্ণ সময়ই মাঠে থাকার কথা তার।