নির্বাচনে জয় পরাজয়ের চেয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গোটা নির্বাচনি ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনে জোর দিচ্ছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোট নেতাদের দাবি সংসদে প্রতিনিধিত্ব হতে হবে সংখ্যানুপাতিক হারে। তা হলে নির্বাচন ঘিরে বারবার যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয় সেটি আর থাকবে না।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কয়েকটি বাম সংগঠন মিলে তৈরি করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এই জোটের আপাতত লক্ষ্য বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থা বদলে ফেলা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি’র (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো বলেন, ‘নির্বাচন কেমন হবে, কতখানি নিরপেক্ষ হবে, টাকার খেলা কতখানি থাকবে, সাম্প্রদায়িক উস্কানি থাকবে কি না, এই সমস্ত বিষয়গুলো কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন প্রসঙ্গে আমাদের একটি খুব গুরত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা বা দাবি আছে সেটা হলো নির্বাচন পদ্ধতিরই পরিবর্তন করতে হবে।’
জোটের শরিক গণসংহতি আন্দোলন মনে করছে সাংবিধানিক সংস্কার ও নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব দলকে নিয়ে একটি জাতীয় সনদের ভিত্তিতে সামাজিক চুক্তির বিকল্প নেই।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি জানান, নতুন যদি একটা সামজিক চুক্তি জাতীয় সনদের ভিত্তিতে করা যায় এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো মিলে কিভাবে রাজনীতিটা হবে সেটা যদি আমরা ঠিক করতে না পারি তাহলে দেশ সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাবে। এই সংঘাত আমাদের রাজনীতি এবং দেশকে কোথায় নিয়ে যাবে তা আমরা জানিনা। তবে নিঃসন্দেহে তা ইতিবাচক হবে না।
আর বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জানান, সংবিধান সংশোধন করে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠনে চাপ সৃস্টিতে এই জোট কাজ করে যাবে।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জানান, চাপ বাড়াতে পারলে সরকার কিছুটা নমনীয় হয়ে অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করার জন্য আমরা যে সুনির্দিষ্ট দাবি উত্থাপন করেছি সেভাবে তারা কার্যকর রাজনৈতিক উদ্যোগ তারা গ্রহণ করবেন।
অন্যদিকে, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত দল জামায়াতে ইসলামকে ছাড়া সব দলের সঙ্গে নির্বাচনি পদ্ধতি পরিবর্তনের লক্ষ্যে আলোচনায় বসতে আগ্রহী এই জোট।
তবে বাম দলের নেতারা আশা করছেন শেষ মুহূর্তে হলেও সরকার দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে।
– ডিবিসি