ভারত পাকিস্তানের সঙ্কট নিরসনে আলোচনা ও সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তাব দিয়ে ভারতের নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইমরান খানের প্রস্তাবে ভারত প্রথমে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি হলেও শুক্রবার দিন শেষে তা বাতিল করে দেয়। সেই সঙ্গে ফিরিয়ে দেয়া হয় ইসলামাবাদের সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তাবও।
ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও শাহ মোহাম্মদ কোরেশির শান্তি আলোচনার বৈঠক নিউ ইয়র্কে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাশ্মীরে সন্ত্রাসের অজুহাত দেখিয়ে ভারত ওই বৈঠক বাতিলের কথা জানায়।
ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়, শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরে তিনজন পুলিকর্মীকে হত্যা এবং নিহত বুরহান ওয়ানির সমর্থনে পাকিস্তানে ডাকটিকিট বের করাকে মেনে নিতে পারেনি ভারত। এর প্রতিবাদেই এই বৈঠক বাতিল করা হলো। এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, ‘যে সহিংসতা ও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, তাতে আলোচনায় বসাটা নিরর্থক। একদিকে ভারতীয়দের রক্ত ঝরবে, অন্যদিকে বৈঠক হবে এমনটা হতে পারে না।’
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও এই সমস্যা সমাধানে উৎসাহী নন বলে কটাক্ষ করেছেন রবীশ। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো এই ইমরানের চিঠির ভিত্তি করেই বৈঠকের দিন ঠিক হয়েছিল।
এরআগেই রবীশ কুমার জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ ভারতের জন্য উপযোগী নয়। সার্ক শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট ও স্বত্রন্ত্র। পাকিস্তানের আয়োজনে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়া কঠিন।
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদিও কিছুদিন আগে ইমরান খানের সঙ্গে অর্থবহ ও গঠনমূলক আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ইমরান খানও সন্ত্রাস ও কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে আগ্রহের কথা উল্লেখ করে মোদিকে চিঠি লিখেছেন। নির্বাচনে জয়লাভের পরও শপথ গ্রহণের আগে ইমরান খান ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন । ইমরান তখন বলেছিলেন, তারা যদি এক কদম আগায় আমরা দু’কদম অগ্রসর হবো। তবে শুরুটা করতে হবে। ঐ সময় মোদি ইমরান খানকে ফোন করে বলেছিলেন, পাকিস্তানের নতুন প্রজন্মের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আমরা প্রস্তুত। সূত্র: জিও নিউজ