ভুটানের সঙ্গে ভারতের চুক্তিভিত্তিক শক্তিশালী দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক চলছিলো। চীনের প্রভাবে সাম্প্রতিক সময়ে সেটা ক্ষয়িষ্ণু। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভুটানের নির্বাচনে ভারতপন্থী ক্ষমতাসীন দলের ভরাডুবির মাধ্যমে ভুটানের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কও ভারতের জন্য বড় রকমের অশনি সংকেত দিচ্ছে।
ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ মুহূর্তে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। ভারতের চির বৈরী পাকিস্তান ও চীন ভারতের জন্য এখন যুগপৎভাবে আরো শক্তিশালী শত্রুতে পরিণত হয়েছে। মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল হতাশাজনকভাবে এখন ভারতবিরোধী, চীনের অতি ঘনিষ্ঠ। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের শত চেষ্টা তেমন উল্লেখযোগ্য ফল দিচ্ছে, সেটা দৃশ্যমান নয়।
আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের কোনো সীমান্ত নেই তবু কিছুকাল আগেও তাদের সঙ্গে ভারতের যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সেটা সাম্প্রতিক বছরে অনেক দুর্বল হয়েছে।
কেবল বাংলাদেশের সঙ্গেই ভারতের চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। শিগগিরই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হলে সেই সম্পর্কটাও অনেক ভারসাম্যপূর্ণ হয়ে যাবে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। এই ভারসাম্যপূর্ণ হওয়ার অর্থ হচ্ছে ভারতের চমৎকার সুবিধায় কিছুটা ভাটার টান। মোদির নেতৃত্বে বিজেপি ৫ বছর আগে বিপুল বিজয়ে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ভারত তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক সম্পর্কে ছিল। তাহলে মোদি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় সে সম্পর্কগুলো কেনো এত খারাপ হয়ে গেল? এই প্রশ্নের জবাব নিশ্চয়ই ভারত রাষ্ট্রের জন্য এখন প্রধান চিন্তার বিষয়।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও ‘দৈনিক আমাদের নতুন সময়’ এর সম্পাদক।