মাকসুদা আলম : সরকার বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, বিনা শর্তে, ফোনে ও অনানুষ্ঠানিক সংলাপ হতে পারে। আবার বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপের প্রয়োজন মনে করছে না আওয়ামী লীগ শুনতে পাচ্ছি তবে সরকারের পক্ষ থেকে যাই বলা হোক না এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, সরকার বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসতে বাধ্য হবে।
সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের আয়োজনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মওদুদ বলেন, সমাপ্ত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নতুন করে প্রমাণিত হল। এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। সেখানে সবকিছু করেছে পুলিশ আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের অবস্থা দেখলে দেশে কোনো সরকার আছে বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, আমরা জাতীয় ঐক্য মঞ্চ তৈরির চেষ্টা করছি। এই লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে উৎখাত করব। তা না হলে আগামী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠনকরতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে উধাও হয়ে গেল। সোনা তামা হয়ে গেল, পাথর ও কয়লা গায়েব হয়ে গেল একজনও গ্রেফতার হল না। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা হল কেউ গ্রেফতার হল না। এর দুটো কারণ থাকতে পারে। এক এরা সরকারের মদদপুষ্ট মানুষ। আরেকটা হল দুই পক্ষের জন্য দুই আইন। নিজেদের বেলায় প্রয়োগ হবে না। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের জন্য প্রয়োগ হবে।
সংগঠনের সভাপতি ডা. মো. আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ও দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, আব্দুস সালাম, বাংলাদেশের লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার, শাহবাগ থানা কৃষকদলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।