খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য পেতে হলে সবার অাগে অামাদেরকে সচেতন হতে হবে। একমাত্র সচেতনতার মাধ্যমেই সম্ভব নিরাপদ খাদ্য।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান : প্রাতিষ্ঠানিক সংকট’ শীর্ষক অালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমান অাইন প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, শ্রীলংকাসহ পৃথিবীর কয়েকটি দেশের অাদলে তৈরি হয়েছে এই অাইন। তাদের দেশে এই অাইনের বাস্তবায়ন করতে সময় লেগেছে ৭-৮ বছর। কিন্তু অামরা সেসব দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে অাছি।
টিভির বিজ্ঞাপনের উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, টিভি বিজ্ঞাপনগুলি দেখে সেটা অনুসরণ করলেই ৬০ ভাগ সচেতন হওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত থেকে শুরু করে খাবারের টেবিল পর্যন্ত অামরা নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে চাই।
প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি অারও বলেন, কোন সরকারই খাদ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবরকম পদক্ষেপ নিয়েছেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর হোটেল কর্মচারিদের হাইজিনের ওপর দুইধাপে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং সেভজুন তৈরিতে ২০০ হোটেল থেকে হোটেলপ্রতি ১ জন করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হবে। সেই সাথে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দিতে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া হোটেলগুলিতে তিনধাপে লাল, সবুজ ও হলুদ রংয়ে চিহ্নিত হবে যে তারা ভেজাল খাদ্য বিক্রি করছে। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
দেশইনফো.কম.বিডি ও ওয়াচডগ বাংলাদেশ যৌথভাবে অায়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারমান মো. মাহফুজুল হক, ঢাবির পুষ্টি ও খাদ্য বিভাগের অধ্যাপক খালেদা ইসলাম, দেশইনফো.কম.বিডি সম্পাদক রাশেদ চৌধুরি, বিএসটিঅাই কর্মকর্তা রিয়াজুল হক প্রমুখ।