শারিরীক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে সৌদি আরব থেকে গৃহকর্মীদের ফিরে আসার সংখ্যা উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে নারী কর্মী পাঠানো উচিৎ বলে মনে করেন অভিবাসন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণকারীরা। তবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলছেন, অভিবাসন খাতকে বিশৃঙ্খল করতেই অপপ্রচার চলছে।
তিনবছর আগে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে প্রথমে দুবাই এবং পরে সৌদি আরব যান সান্ত্বনা রাণী। দুবারই দালালকে মোটা অঙ্কের টাকা দেন। কিন্তু সৌদিতে গৃহকর্তার শারিরীক নির্যাতনের মুখে তিনি পালিয়ে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন।
২০১৫ সালে নারী গৃহকর্মী পাঠানোর বিষয়ে সৌদির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সইয়ের পরপরই প্রায় আড়াই লাখ নারী সৌদি আরবে গেছেন। তবে সান্ত্বনার মতো নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ৩ বছরে দেশে ফিরেছেন ৫ হাজার নারী। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ফিরেছেন ৪৪৮ জন।
অভিবাসন পর্যবেক্ষণকারীদের অভিযোগ, সৌদি আরবের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্তগুলো সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। অভিবাসন পর্যবেক্ষক তাসনিম সিদ্দিক বলেন, ‘কর্মী নিয়ে যাওয়ার সময় যে চুক্তিগুলো করা হচ্ছে, বিদেশে চলে যাওয়ার পর ওই চুক্তিগুলোর সম্মান করা হচ্ছে না।’
তবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির দাবি বাস্তবে পরিস্থিতি ততটা জটিল নয়। তিনি বলেন, ‘যারা কর্মী পাঠানোর ওই বাজারটা ধরতে চাচ্ছে তারা অপপ্রচার করছে। যতটা নির্যাতনের কথা বলা হয় বাস্তবে ততটা হয় না।’
নারী গৃহকর্মীদের বিদেশ যাবার ক্ষেত্রে নজরদারি আরও বাড়ানোর কথাও জানিয়েছেন প্রবাস কল্যাণ মন্ত্রী ।